সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

ঝালকাঠি জেলার ঘটনা


সংগ্রহীত ঘটনা
আমার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার
দিবাকরকাঠি গ্রামে। আমাদের গ্রাম
নিয়ে অনেক ভৌতিক ঘটনা আছে। আজ আপনাদের
সাথে যে ঘটনাটা শেয়ার
করবো তা ঘটেছিলো প্রায় ৪০ বছর আগে।
আমাদের
গ্রামে তখনো বিজলী বাতি গিয়ে পৌঁছায়নি।
ওহ, প্রথমেই বলে নেই, এই
ঘটনাটি আমি আমার আব্বু এবং দাদির
মুখে শুনেছি। ঘটনাটি ঘটেছিলো আমার
দাদির সাথে।
আমার দাদা ছিলেন একজন ওঝা টাইপের লোক।
তিনি জিন তারাতে পারতেন। তিনি যখনই
জিন তারাতে বাড়ির বাইরে যেতেন তখন ব
াড়ি শক্ত করে বন্ধক দিয়ে যেতেন
এবং সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়া সকলের
মানা থাকতো। দাদা একদিন খুব তাড়াহুড়ার
সহিত জিন তারাতে রওনা হলেন। সেদিন
তিনি বাড়ি বন্ধক দিতে ভুলে যান।
তিনি যেই বাসায় জিন তারাতে গিয়েছিলেন
সেই বাসায় পৌঁছতে পৌঁছতে তার রাত ৮টার
মতো বেজে যায়। তিনি অনেক
সাধনা করে একসময় জিনটাকে পরাজিত করেন
এবং জিনটা যাকে ভর করেছিলো তার দেহ
থেকে জিনটাকে ছাড়িয়ে দেন।
জিনটাকে ছাড়িয়ে দিতেই সেটা হুংকার
দিয়ে বলে, “আমি গেলাম তোর বাড়িতে!”
তো দাদা উত্তর দিলেন, “যা, তুই যা পারিস
কর!” কিন্তু সাথে সাথেই দাদার খেয়াল হল
যে তিনি আজ তাড়াহুড়ায় বাড়ি বন্ধক
দিয়ে বের হতে ভুলে গেছেন। এরই
মধ্যে জিনটা দাদার বাড়িতে এসে দাদার রূপ
ও কণ্ঠ নিয়ে ঘরের
বাইরে দাঁড়িয়ে দাদিকে ডাক দিলেন,
“জমিনা, বদনাটা নিয়া একটু আসো তো!”
দাদি ভাবলেন দাদা হয়তো টয়লেটে যাবেন
আর গ্রামের টয়লেটগুলো বাড়ি থেকে একটু
দূরে হয়। দাদি পানি নিয়ে বের হয়ে খেয়াল
করলেন যে দাদা টয়লেটের
দিকে না গিয়ে বাগানের
দিকে চলে যাচ্ছেন।
দাদি সাথে সাথে বুঝতে পারলেন
যে এটা দাদা নয়। তাই তিনি দ্রুত ঘরের
দিকে চলে আসতে লাগলেন। হটাত
একটা দমকা বাতাসে দাদির হাতের
কুপিটা নিভে গেলো। তিনি দৌড় দিলেন ঘরের
দিকে। কিন্তু
জিনটা একটানে দাদিকে উঠানের পাশ
থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের
পুকুরে ফেলে দিলো এবং চুবাতে শুরু করলো।
তখন বাড়িতে আমার ফুফু এবং ফুফা ছিলেন।
দাদি বিপদের মুহূর্তে মত্র একবার বড় ফুফুর
নাম ধরে ডাক দিতে পেরেছিলেন।
তিনি “আকলিমা” বলে ডাক দেন
এবং সৌভাগ্যবশত সেই ডাক আমার ফুফুর
কানে পৌঁছায়। আমার ফুফু
এবং ফুফা দৌড়ে এসে দেখেন দাদি পুকুরের
মাঝে অজ্ঞান অবস্থায় ভাসছেন। এরপর
তারা দাদিকে দ্রুত উদ্ধার
করে ঘরে নিয়ে যান
এবং সেবা চিকিৎসা করে দাদিকে সুস্থ
করে তোলা হয়।
ঘটনা এখানে শেষ হলে ভালো হতো। কিন্তু
এরপর থেকে দাদি প্রায়ই কিছু ভয়ঙ্কর স্বপ্ন
দেখতে লাগলেন। দাদা তাই আমাদের
পুরো বাড়ি শিক দিয়ে দেন এবং সন্ধ্যার পর
কারো বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ
করে দেয়া হয়। এরপর দাদা জীবিত
থাকাকালীন সময়ে আর কিছু ঘটেনি।
দাদা মারা যাওয়ার পর
থেকে প্রতিবেশীরা কেউ রাত ২/৩টার
দিকে বাড়ির বাইরে বের হলে দেখতে পান
যে, সেই পুকুরের পাড়ে আমার দাদার
প্রতিরুপি কেউ একজন বসে আছে। হয়তো ঐটাই
সেই জিনটা যার প্রতিশোধ নেয়া এখনো শেষ
হয় নি। অথবা হয়তো এটা দাদার
আত্মা যা আমাদের রক্ষা করার জন্য
এখনো আসে।
আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (লিমন)
অনার্স প্রথম বর্ষ (পদার্থ বিদ্যা)
সরকারী বি এম কলেজ, বরিশাল।

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

লাশ খাওয়া (ভৌতিক সত্য ঘটনা)


তথ্যটি জানিয়েছেন : Adity Rimi
ভুত বিশ্বাস করেন না এ লেখাটি তাদের জন্য
নয় । কেননা এটা একটি ভুত সংক্রান্ত
লেখা বা ঘটনা ।
ঘটনাটা আমার ভাইয়ার কাছ থেকে শোনা ….
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগের কথা। আমার
ভাইয়া তখন শেরপুর থাকতো পড়ালেখার
কারনে। শেরপুর শহর থেকে প্রায় ৮ কি.মি.
দুরে কালিবাড়ি নামে একটা গ্রাম আছে।
সেখান থেকে পাকুরিয়া নামে অন্য
একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য
একটা কাচাঁ রাস্তা ছিলো যেটা একটা বিলের
মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। রাস্তা টা অবশ্য এখন
পাকা হয়ে গিয়েছে।
যাই হোক রাস্তার দুইপাশের বিলটা অনেক বড়
ছিল এবং বিলটাকে নিয়ে অনেক
কাহীনি প্রচলিত ছিল। ঘটনার রাতে এক
রিকশাওয়ালা পাকুরিয়া থেকে খালি অবস্থায়
কালিবাড়ি নামক গ্রামটিতে ফিরছিল। তখন
রাত আনুমানিক ১ টা বজে।
তো রিকসাওয়ালা যখন ঠিক বিল এর
মধ্যখানে পৌছে ছিলো সেই সময়.
হঠাৎ দেখে, পুলিশ এর ইউনিফরম পড়া একজন
লোক একটি লাশ নিয়ে রাস্তার
পাশে দাড়িয়ে আছে। সে খেয়াল
করলো যে পুলিশ টা তাকেই ডাকছে। সে খুব
সাহসী ছিল, তাই সে সেখানে দাড়ালো।
পুলিশ টা তাকে বললো যে তাকে আর
লাশটাকে কাছেই কোন একটা জায়গায়
পৌছে দিতে,
রিকসাওয়ালা রাজি হতে চায়নি কিন্তু পুলিশ
টা অনুরোধ করে বলতেই
সে রাজি হয়ে গেলো এবং তাদের কে রিকসায়
উঠাইয়া নিল ...
কিছুএভাবে ‍ দূর যাওয়ার পর
পুলিশটা বললো যে, তোমার কাছে ম্যাচ আছে ?
জবাবে রিকসাওয়ালা বললো যে, আমার ম্যাচ
এর কাঠি একটু আগে শেষ হয়ে গেছে। এরপর
তারা কিছুদূর এগিয়ে গেল কিন্তু তখনও বিল
পাড় হয়নি তারা। হঠাৎ
রিকসাওয়ালা শুনলো যে তার পেছন থেকে হাড়
চিবানোর মত কটমট শব্দ আসছে।
সে প্রথমে জিনিসটা পাত্তা দিলনা. কিন্তু
কিছুদূর গিয়ে সে শুনলো যে শব্দ টা আরও
বেশি হচ্ছে।
তখন সে পেছনের
দিকে তাকালো এবং যা দেখলো, তাতে তার
নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলনা।
সে দেখলো যে পেছনের ঐ পুলিশ টা সেই
লাশটাকে কোলের উপর
রেখে কামরিয়ে কামরিয়ে খাচ্ছে। পুলিশটার
মুখে লাল টকটকে রক্ত লেগে আছে।
সে তখনি রিকসা টা থামিয়ে জোরে একটা দৌড়
দিল এবং কিছুদূর গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লো।
পরদিন সে দেখে যে তার বাড়িতে শুয়ে আছে।
আসলে পরদিন সকালে ঐ রাস্তার কিছু লোক
তাকে রাস্তায় পড়ে দেখেছিলো, তার
রিকসা টা বিলের পানিতে পরে ছিলো। সেই
রিকসাওয়ালা টা তখন ঘটনাটা তাদের
গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেবের
কাছে শেয়ার করলো।
ঘটনাটা এখানেই শেষ না। সেই দিন রাতে ঐ
রিকসাওয়ালা টার খুব জ্বর আসে এবং নাক,
মুখে রক্ত এসে সে মারা যায়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে যে, ঘটনার
রাতে ঐ গ্রামের একটা কবর থেকে একটা লাশ
চুরি হয়েছিল, যার খবর আজ পর্যন্ত কেউ পায়
নাই ..

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি ঘটনা

সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট
উপজেলার এক গ্রামের ঘটনা।
সেই গ্রামের একবারে পূর্ব পাশে একটা ঘর
নিয়ে থাকতো শরিফা বিবি।
স্বামী পরিতক্তা মেয়েমানুষ। সারাদিন
মানুষের বাড়িতে ফুটফরমাশ খেটে যেই
টাকা পেতোতা দিয়েই দিন কেটে যেতো।
ছোট একটা মেয়ে ছিল শরিফার। বয়স ১১
বছর। সেই মেয়েকে নিয়েই গ্রামের একদম
শেষ মাথার ঘরটিতে থাকতো সে।
যাই হোক, ঠিক তাদের বাড়িটারপাশেই
একটা বিরাট আকারের বেল গাছ ছিল। সেই
বেল গাছ নিয়ে গ্রাম
নানান কথা প্রচলিত ছিল। মাঝেমাঝেই
নাকি সেই গাছের
নিচে একটা লোককে বসে থাকতে দেখা যেতো।
তার গায়ে কোনও কাপড় থাকতো না।
যারা দেখেছেতাদের সবাই একই
কথা বলেছে যে, লোকটিকে যখনই
দেখা যেতোতখনই নাকি দূরে কোথাও
কুকুরকাঁদার আওয়াজ পাওয়া যেতো।
শরিফাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন
করা হলে সে কিছু জানে না বলে অস্বীকার
করে।
মার্চ মাসের কোনও এক রবিবারেশহর
থেকে নিজেদের দোকানের জন্য
কেনাকাটা করে ফিরছিল একদল গ্রাম্য
দোকানদার। সংখ্যায় তারা ১২-১৫ জনের
মতো ছিলেন। রাত তখন ১১ টার মতো হবে।
শরিফাদের বাসার সন্নিকটে আসতেই
তারা দেখতে পেলেন, সেই গাছের
নিচে লোকটি বসে আছে এবং লোকটিকে ঘিরে আছে একদল
মানুষ আকৃতির ছায়ামূর্তি।
প্রতিটা ছায়ামূর্তি আঁকারে যেকোনো মানুষের
প্রায় দ্বিগুণ। তারা সবাই দেখে দম বন্ধ
করেদাঁড়িয়ে থাকেন।
মিনিট খানেক পরে একসময় ছায়ামূর্তিগুলো
ভাসতে ভাসতে সেই গাছের
উপরে উঠে মিলিয়ে যায় এবং এর
খানিকপরলোকটিকে আজ দেখা যায় না। ঠিক
সে সময় তাদের চমকে দিয়েশরিফার ঘর
থেকে ভয়ঙ্কর আর্তনাদের আওয়াজ
ভেসে আসে। তারা প্রত্যেকেই ভয়
পেয়ে যায় এবং দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করে।
পরের দিন সকালে স্থানীয় কিছু মানুষ
হাতে লাঠি সোটা নিয়ে সেই ঘরের
দিকে গেলে ঘরের
মেঝেতে শরিফা এবং তার মেয়ের
মাথাবিহীন লাশ খুঁজে পায়। অনেক
খোঁজাখুঁজির পর তাদের
মাথাগুলো পাওয়া যায় সেই গাছের
মগডালে। ঠিক যেখানে তার আগের
রাতে লোকগুলো ঐসব
ছায়ামূর্তি কে হারিয়ে যেতে দেখেছিল।
সেই ঘরটি এখনো আছে। বেল গাছটি এরপর
কেটে ফেলা হয়। শোনা যায়, বেল
গাছটি কাঁটারপর নাকি সেই মাটির
নিচথেকেএকটা বস্তার ভিতর
থেকে একটিকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
লোকটাকে কেউ মেরে সেই
গাছেরনিচে চাপা দিয়ে রেখেছিলো।
হয়তো অপঘাতে মরা কোনও ব্যাক্তি, যার
শান্তি হয়নি কখনো।